শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার তের লক্ষ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গা সহ কক্সবাজারে ৪ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৬নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।
মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিতরা হলো : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মোঃ বশির আহমদের ছেলে মোঃ আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডিতরা সকলে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ জানান, গত ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসাথে ফিশিং বোটে থাকা মো: আয়াজ ও মো: বিল্লালকে গ্রেফতার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৪/৫ জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার এবং ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মোঃ হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত ২ জন সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ঘটনাস্থল থেকে ধৃত আসামী মো: আয়াজ ও মো: বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। জবানবন্দিতে পলাতক আসামী আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশীট প্রদান করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সাক্ষী, তথ্য উপাত্ত প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন।
ভয়েস/আআ